
০১. ফক্সগ্লোব
মনকাড়া একটি ফুল ফক্সগ্লোব। হালকা গোলাপি, বাদামি ও শাদা রংয়ের এই ফুলটি দেখলে যে কেউ বিস্ময়ে অভিভূত হয়ে যাবে। এই ফুলগাছের পাতা হৃদরোগের ঔষধ তৈরিতে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। অবাক ব্যপার, এর বিষক্রিয়া হৃদস্পন্দনের হার কমিয়ে দিয়েই শুরু হয়। বমি, ত্বক কুঁচকে যাওয়া, ডাইরিয়া ও বিষের তীব্রতায় লালা ঝরা এই ফুলের বিষের প্রধান লক্ষণ।

০২. হাইড্রেনজিয়া
গুচ্ছাকারে ফুটে থাকে এই ফুলটি বাড়ির উঠানের অর্নামেন্ট ফুল গাছ হিসেবে অত্যন্ত জনপ্রিয়। কিন্তু বিষে আক্রান্ত হলে এর চেয়ে ভয়ংকর ফুল আছে বলে আপনার মনে হবে না। ভুলবশত খেয়ে ফেললে ঘন্টাক্ষাণেকের মধ্যেই ত্বকে ফুসকুড়ি উঠবে, বমি শুরু হবে, ঘাম ছেড়ে শরীরে দুর্বলতা অনুভব করবেন। দেহে রক্ত পরিবহন ব্যবস্থায় আশঙ্কাজনক অবনতি ঘটায় আক্রান্ত রোগি অল্প সময়ের মধ্যে চিকিৎসা না পেলে কোমা পর্যায়ে চলে যাবে।

০৩. লিলি অব দ্যা ভ্যালি
অনেকের সবচেয়ে পছন্দের ফুল এটি। কানের দুলের মতন ফুলগুলো রজনীগন্ধা ফুলের মতই সরু কান্ডে জড়ানো থাকে। সাদা রংয়ের এই ফুলটি পানিতে রেখে দিলে অনকক্ষণ তাজা থাকে বলে ফুলদানীতে বহুল ব্যবহৃত। সামান্য পরিমাণ লিলি অব দ্যা ভ্যালি ফুলটি খেয়ে ফেললে আপনার তেমন অস্বস্থি লাগবে না হয়ত কিন্তু বেশি পরিমানে খেয়ে ফেললে মুখ জ্বলে যাওয়া , বমি, বুকে তীব্র ব্যথা, মাংশপেশী কুচঁকে যাওয়ার পাশাপাশি হৃদস্পন্দন অস্বভাবিক হারে কমে যেতে পারে। পাকস্থলি থেকে বিষ না বের করতে পারলে আক্রান্ত ব্যক্তির মৃত্যু ঘটতে পারে।

০৪. অলেন্ডার
অলেন্ডার এমন একটি বিষাক্ত গাছ যার প্রায় প্রতিটি অংশই বিষাক্ত। অন্যান্য গাছের ক্ষেত্রে দেখা যায় হয় ফুল, নয়ত পাতা, নয়ত গাছের রস বিষাক্ত, অলেন্ডার সেক্ষেত্রে ভিন্ন, আরো ভয়ানক। অলেন্ডার ফুলকে দেখা যায় ফুলদানীতে সাজিয়ে রাখতে। লাল, শাদা, গোলাপি বাহারী রংয়ের চোখ ধাঁধানো সৌন্দর্যে অলেন্ডার এর বিষ ফুলদানীর পানি থেকে, বাগানে খেলা করতে এসে নানানভাবে আপনার দেহে প্রবেশ করতে পারে। তীব্র বিষের প্রথম প্রভাব পড়বে সরাসরি আপনার দেহের রক্তে। অনিয়মিত হৃদস্পন্দন, অতিরিক্ত হৃদস্পন্দন এর মতন লক্ষণ আপনাকে জানান দেবে আপনি মৃত্যুর কতটা কাছে এসে পড়েছেন!
লেখা: তানভীর আহমেদ।